বাংলাদেশে জঙ্গিবাদে জড়িতদের অধিকাংশই আহলে হাদিস মতবাদে বিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার কথা বলেন তিনি।
সোমবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘উগ্রবাদবিরোধী জাতীয় সম্মেলন-২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যেসব জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করেছি, বিচারের মুখোমুখি করেছি, তাদের ৯০ ভাগের বেশি আহলে হাদিস মতবাদী।”
মুসলমানদের মধ্যে এই অংশটির জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা দেখা যাওয়ায় এদের (আহলে হাদিস) দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার। দেশের দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে এই পন্থী মুসলমানরা বড় সংখ্যায় থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই জঙ্গিদের সঠিক পথে আনতে গেলে তাদের বড় হুজুরদের নিয়ে কাজ করতে হবে।
জঙ্গিবাদী আদর্শ দ্বারা প্রভাবিতদের সহজে স্বাভাবিক জীবনের ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি কারাগার ও পুলিশে সেই পর্যায়ের ধর্মীয় জ্ঞান রাখা মানুষের অভাব থাকার কথা জানান।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যারা অন্যদের কাফের বলে আখ্যায়িত করছেন, যারা তাদের মাথায় বোধগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছেন, তাদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। জেলখানায় থাকা জঙ্গি ও আলেমদের বোঝানোর মতো জ্ঞান সম্পন্ন লোক নেই।”
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশে আর একটি হোলি আর্টিজানের মতো হামলা হলে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যেত। কোনো বিদেশিকেই আর দেশে রাখা সম্ভব হতো না। উন্নয়ন সহযোগী দেশের এক্সপার্টদের যারা হত্যা করার মতো কাজ করে তারা কখনোই দেশের উন্নতি চায় না।
একটা সময় মনে করতাম, নির্দিষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত মানুষেরাই জঙ্গিবাদে জড়িত হচ্ছেন। কিন্তু এর বাইরে উচ্চ শিক্ষিতরাই ব্যাপকভাবে জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, যদি আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে না পারতাম।