বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসম্পাদক আবদুল করিমকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে দুইশ টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে সখীপুর উপজেলার কচুয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শনিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখীপুরের কচুয়া বাজারে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল করিম বলেন, ‘করোনার এই সংকটে আমার নিজের এলাকার মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও করোনা প্রতিরোধে সচেতন করে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কচুয়া বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য সতর্কবার্তা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝুলানোর সময় এএসআই কবির হোসেন আমাকে বাধা দেয়। এসময় অকথ্যভাষায় গালি দিয়ে আমার মোটরসাইকেলের চাবি দিতে বলে। প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এগিয়ে এসে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চায়। এসময় আমার বিরুদ্ধে সরকারিকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে জরিমানা হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে আমাকে দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়।’
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। মোবাইল কোর্টের কোনও দায় পুলিশের ওপর আসবে না। দায়িত্বটা ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর থাকে।’