বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মাদারকাঠী গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। সন্ত্রাসীরা ৪/৫ বিঘা জমি দখলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করছে ওই সংখ্যালঘু পরিবারটির ওপর। ঐতিহ্যবাহী এ ঠাকুর বাড়ির সম্পত্তির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই ওই মহলটির লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী চক্রটি প্রকাশ্যে জোর করে ঠাকুর বাড়ির ৭/৮টি মূল্যবান গাছ এবং পুকুর থেকে ২০/২৫ হাজার টাকার মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এদিকে সন্ত্রাসীদের এই অপতৎপরতার বিষয়টি মৃত চিত্তরঞ্জন ভট্টচার্য্যের মেজো ছেলে চাখার গার্লস স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক গণেশ ভট্টাচার্য ̈ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করলে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং গত ৮ জুন সন্ধ্যায় মামুন সারোয়ার ও কমলের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ গণেশ মাস্টারের উপর হামলা চালায়। তারা গণেশ মাস্টারকে বেদম প্রহার করে অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসী পরে তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, এই সন্ত্রাসী হামলা ও তৎপরতা ব্যপারে পরিবারটি যেন মামলা না করে সেজন্য পরিবারটির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় সন্ত্রাসীরা এই সংখ্যালঘু পরিবারটির ওপর হুমকি দিয়েছে যে, তারা যেন এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে ভারতে চলে যায়। তা না হলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হবে এবং পরিবারের সবাইকে ওই আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে। এ অবস্থায় বর্তমানে অসহায় এই সংখ্যালঘু পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা থানায় মামলা করতে পারেনি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আজকের কাগজ, ১২ জুন ২০০২