জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ-ইসলামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মলমগঞ্জ বাজারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর ভূমিতে (কালী মন্দির) কতিপয় প্রভাবশালী মহল পাকা ঘর নির্মাণ করছে। এ নিয়ে এলাকার সংখ্যালঘু ও জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় তহশিলদার একটি রিপোর্ট দাখিল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সূত্রে প্রকাশ, বিভিন্ন সময় ওই প্রভাবশালীদের অত্যাচার ও হুমকিতে এলাকার বেশ কিছু সংখ্যালঘু পরিবার অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আর অবশিষ্ট কয়েকটি পরিবার অত্যাচার সহ্য করে পৈত্রিক ভিটায় এখনও পড়ে আছেন। তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কালী মন্দিরের জায়গাটুকু ক্রমেই দখল হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় তারা হতাশ ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বেশ ক’বছর আগে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা মন্দিরের পাশ দিয়ে টিনের ছাপড়া ঘর তুলে অস্ত্রেশস্ত্রে মন্দিরের ১১ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। সম্প্রতি ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি তার দখলীয় কিছু জমি আরেকটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে ওই জায়গায় নতুন দখলদাররা স্থায়ী ইমারত নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় মলমগঞ্জ তহশিলদার মো. আ. খালেক জানান, পার্শ্ববর্তী মৌজার মলমগঞ্জ বাজারে ১১ শতাংশ দেবোত্তর (কালী মন্দির) ভূমির ওপর অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণ বন্ধের জন্য গত ৬ মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মন্দিরের জমি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজকের কাগজ, ১ জুন ২০০২