বরিশালের আগৈলঝাড়া গৌরনদী উপজেলার সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৈল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান বিএনপি নেতা এ নির্যাতনের হোতা বলে জানা গেছে। গত ২৯ আগস্ট গতিহারে নির্যাতনে পিকুল গুহ ও সংগ্রাম বণিক গুপি মারাত্মক আহত হয়। তারা এখন পর্যন্ত বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত আগস্ট মাসে বিএনপির সন্ত্রাসীরা মাহিলারা হাটে দুলাল বিশ্বাস নামে এক যুবককে মারধর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। অভিযোগে আরো জানা গেছে তিনি এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। গত বছর গৌরনদীতে মদ্যপানকে কেন্দ্র করে বেশ ক’জনের প্রাণহানি ঘটে। সেদলে জামাল গোমস্তা ছিলেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৈলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে অপসারণ এবং ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকেই তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুরত্ব বাড়তে থাকে। এই সুযোগে তিনি ও তার বাহিনী বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ২৯ আগস্টের ঘটনার পর ৩১ আগস্ট তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। এই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর জামাল গ্রেফতার হলেও তিন দিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যান। এরপর থেকেই বিএনপি সংসদ সদস্য প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের মদদে জামাল ও তার সহযোগিরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা দাবী করে। এমনকি হিন্দুদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে এবং পতিহারের একটি সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্য দেবেন্দ্রনাথ মোমের বাসভবনে বোমা হামলা চালায়। বর্তমানে এখানকার সংখ্যালঘু পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আজকের কাগজ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০১
কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন