কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন; যারা ইয়াবা পাচারকারী বলে বিজিবির ভাষ্য।

 

তবে বিজিবি তাদের পরিচয় বলতে পারেনি। বিজিবির ধারণা, নিহতরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক; যাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর হতে পারে।

বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, “সোমবার মধ্যরাতে নাফ নদীর নাজিরপাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবর পায় বিজিবি। বিজিবির একটি দল টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের আলুগোলা মৎস্য খামার এলাকায় অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে নাফ নদীর জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে একটি নৌকা নিয়ে পাঁচজন সন্দেহজনক লোকজন আসতে দেখে বিজিবি থামার নির্দেশ দেয়।

“তারা না থেমে বিজিবি সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। বিজিবির সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে নৌকা থেকে তিন লোক লাফ দিয়ে জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমার দিকে পালিয়ে যায়। নৌকায় থাকা অপর দুইজন গুলি করতে করতে নাফ নদীর তীরবর্তী কেওড়া বনের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।”

তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা ফয়সল হাসান খান।

তিনি বলেন, নিহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ৩৫ বছর।

ফয়সল হাসান বলেন, বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তিন লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা, দেশে তৈরি একটি বন্দুক ও ধারালো দা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভ্র দেব বলেন, মধ্যরাতে বিজিবির দুই সদস্যসহ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে সাদা পোশাকের দুইজনের হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়। নিহতদের বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ৩৫ বছর। প্রত্যকের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত বিজিবি সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা ফয়সল হাসান খান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মন্তব্য করুন