কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের কলেজপাড়া গ্রামে এক ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষকরা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করেছে।

ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলেও ওই গৃহবধূকে হুমকি দেয় ধর্ষকরা।

এদিকে ধর্ষকদের হুমকির পরও ওই গৃহবধূ ধর্ষণের তথ্য তার পরিবারকে জানালে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী এ সময় অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম (৪০) নামের এক ধর্ষককে আটক করে বেধম মারপিটের পর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় অপর ধর্ষক সুজন মিয়া (২৮) পালিয়ে আত্মরক্ষা করে।

ধর্ষক নজরুল ইসলাম রাজীবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পলাতক ধর্ষক সুজন মিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।

রাজীবপুর সবুজবাগ গ্রামে একটি ভাড়াবাসায় থাকা দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা ট্র্যাক্টর চালক এরশাদ আলীর স্ত্রী ধর্ষিতা গৃহবধূ ৮ এপ্রিল সোমবার মোবাইল ফোনে রিচার্জ করার জন্য অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের দোকানে যান। এখান থেকে ধর্ষক নজরুল ও সুজন ওই গৃহবধূকে তুলে নিয়ে কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। তারা এ সময় ধর্ষণের চিত্রটি ভিডিও ধারণ করে।

রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ধর্ষক নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মঙ্গলবার ধর্ষিতা গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দির জন্য কুড়িগ্রামে পাঠায় পুলিশ।

পরিবর্তন

মন্তব্য করুন