চট্টগ্রাম নগরের প্রবর্তক ইসকন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের প্রবেশপথে নিরাপত্তা কার্যালয় ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সন্ন্যাসীরা।

 

১৫ মার্চ সোমবার বিকেলে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার নিন্দা ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

লিখিত বক্তব্যে ইসকন চট্টগ্রামের বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবর্তক সংঘের নেতারা ইসকনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন। মন্দিরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে গত ১২ মার্চ আমরা তাদের আলোচনার প্রস্তাব দিলে তারা রাজি হননি। রোববার বিকেলে অতর্কিতভাবে ২০-২৫ জন বহিরাগত ব্যক্তি এসে মন্দিরের প্রধান নিরাপত্তা কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং মন্দিরের ২ নম্বর প্রবেশ গেট তুলে ফেলে। এ সময় মন্দিরে অবস্থানকারী সাধু-সন্ন্যাসীরা নিরাপত্তা কার্যালয় ভাঙচুর না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েও রেহাই পাননি। উল্টো মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর হুমকি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাস ব্রহ্মচারী, দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী, দিব্য নিমাই দাস ব্রহ্মচারী, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, শচী নন্দন গোস্বামী, মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী।

অভিযোগের বিষয়ে প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনগড়ি চক্রবর্তী বলেন, সন্ন্যাসীদের অভিযোগ মিথ্যা। ইসকনের সঙ্গে প্রবর্তক সংঘের চুক্তি অনুযায়ী যে জমিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা ছিল, তা তারা মানেননি। মন্দির নির্মাণের জন্য তাদের ১৮ গন্ডা জমি দেওয়া হয়। এর বাইরেও অনেক জমি দখল করে তারা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। প্রবর্তক সংঘের স্বার্থে দখলে থাকা জমি উদ্ধারে গেলে নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ১০-১২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভুইয়া বলেন, গেট ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমকাল

মন্তব্য করুন