চট্টগ্রামে উপর্যুপরি সন্ত্রাসী হামলায় বিপর্যস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবার পড়েছে ভিন্নরকম চাপের মুখে। সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তারা সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা এবং কোথাও কোথাও পূজা মণ্ডপ তৈরি না করার সিন্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিশেষ একটি মহল তাদের চাপ দিচ্ছে জাঁকজমকের সঙ্গে পূজা করার জন্য । সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায় এড়াতে এই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ইতোমধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা সন্দ্বীপের সংখ্যালঘুদের হুমকি দিয়ে বলেছে, এবার দুর্গাপূজা করা না হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে। নতুন এই হুমকিতে সংখ্যালঘুরা আরও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। কেননা, নির্বাচনের আগে ও পরে অব্যাহত হামলায় সন্দ্বীপের সংখ্যালঘুরা এমনিতেই বিপর্যস্ত অনেকে সন্দ্বীপ ছেড়েও চলে গেছে। একই ঘটনা ঘটেছে রাউজান, ফটিকছড়ি , চন্দনাইশ, বোয়ালখালি ও হাটহাজারী উপজেলায়। এসব এলাকার সংখ্যালঘুদের এখন দুর্গাপূজা করার মানসিকতা নেই বললেই চলে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদ সারা দেশে অনাড়ম্বরে পূজা করার সিন্ধান্ত নেয়ায় সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় চারদলের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সংখ্যালঘুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে-তারা যেন জাঁকজমকের সঙ্গে দুর্গাপূজা করে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃত্ববৃন্দ বলেছেন, এটা নির্লজ্জ হামলার দায় এড়ানোর একটা প্রচেষ্টামাত্র।

দৈনিক জনকন্ঠ, ১৬ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন