বরিশালের চরমোনাইর বাজারচর এলাকায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের তিন নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনায় রোববার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই পরিবারটির অন্যতম অভিভাবক পবিত্র কুমার মিস্ত্রির এই মামলার বাদী। মামলার প্রধান আসামী স্থানীয় এক বিএনপি কর্মী বজলুকে পুলিশ গতকাল সোমবার গ্রেফতার করেছে। এদিকে ডাক্তারী পরীক্ষাকে প্রভাবিত করে মামলা দুর্বল করার জন্য স্বার্থান্বেষী মহল চেষ্টা শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায় শনিবার রাতে মামলার বাদী পবিত্র মিস্ত্রির বোন, ভাবী ও ভাইয়ের মেয়েকে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী পাশবিক নির্যাতন করেছে বলে ঘটনার কথা জেনে রোববার রাতে নির্যাতিতদের থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ওই রাতেই ঘটনা তদন্তের জন্যে একাদিক পুলিশ কর্মকর্তা নির্যাতিতদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে থানায় ফিরে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়। মামলায় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বিএনপি কর্মী বলে পরিচিত বজলুসহ ছয়জনকে আসামী করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে প্রধান আসামি বজলুকে গ্রেফতার ও অপর দুজনকে সন্দেহজনকভাবেথানায় নিয়ে আসে। তবে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে থানা থেকে জানানো হয়েছে। অপরদিকে গতকাল নির্যাতনের শিকার বাদীর বোন, ভাবি ও ভাইয়ের মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বরিশাল মেডিক্যাল হাসপাতালে। গতকাল রাত পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

প্রথম আলো, ১৬ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন