বিয়ের চার মাসের মধ্যে ডিভোর্স দিয়ে আরেকজনকে বিয়ে করায় ক্ষিপ্ত হয়ে খুন করা হয় হিন্দু গৃহবধূ সুপ্তি মল্লিককে। গ্রেফতারের পর এমনটাই জানায় ঘাতক জাকির হোসাইন

 

ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর থেকে ১৩ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে জাকির হোসাইনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তিনি লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার চর আফজাল এলাকার বাহার উদ্দিনের ছেলে। থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত দুটি মোবাইল ফোনসহ তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার জাকিরের উদ্ধৃতি দিয়ে পিবিআই জানায়, ২০১৪ সালে পাড়ির পাশের সুপ্তি মল্লিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জাকিরের। ২০১৮ সালে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। ৩-৪ মাস সংসার করার পর জাকিরকে তালাক দিয়ে সুপ্তি বাড়ি ফিরে যান এবং বাসুদেব চৌধুরী নামে অপর এক ব্যক্তিকে পুনরায় বিয়ে করেন। ঘটনার দিন বাসায় লোক না থাকায় বিয়ে করে ডিভোর্স দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে সুপ্তিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন জাকির।

পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘গত বছরের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ার নাছিমা মঞ্জিল (৪র্থ তলা) ৫৩ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে সুপ্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ মামলার তদন্তভার আসে পিবিআই-এর হাতে। মামলার তদন্ত শুরু থেকেই জাকিরকে সন্দেহ হয়। সন্দেহ আরও বেড়ে যায় ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক থাকায়। বুধবার ঢাকা থেকে জাকিরকে গ্রেফতারের পর হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন