পাবনার চাটমোহর উপজেলার খ্রিস্টান পল্লীতে গত মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুজন কস্তা (২৭) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। পুলিশ ঘটনার রাতেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি শংকর কোরাইয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।

থানায় দায়েরকৃত মামলা ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সুজনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাত ৯টায় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সন্তোষ কস্তার পুত্র সুজন কস্তার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী লাউতিয়া গ্রামের রবার্ট কোরাইয়ার পুত্র শংকর কোরাইয়ার একটি চায়ের দোকানে ঝগড়া বাধে। রাত সোয়া ৯টায় সুজন বাড়ি ফেরার পথে মথুরাপুর খ্রিস্টান মিশন গেটের সামনে এলে শংকর কোরাইয়া তার সহযোগিদের নিয়ে সুজনের পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সুজনের চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এসে তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কিন্তু ১৫ মিনিট পর সে মারা যায়।

মৃত্যুর আগে সুজন হত্যাকারীদের নাম বলে যায়। রাতেই সুজন নিহতের মা সুমতি কস্তা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর তিন  ৪১ ৪২ ২১ আসামি হলো যথাক্রমে মথুরাপুর গ্রামের আঃ আজিজের পুত্র আতাউর রহমান ও আতিকুর রহমান এবং লাউতিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের পুত্র মহরম। নিহত সুজন মাত্র ১০ দিন আগে কুয়েত থেকে বাড়ি এসেছিল। এ ঘটনায় খ্রিস্টান পল্লীতে থতথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রথম আলো, ৯ আগস্ট ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন