জেলার বাঘার পালপাড়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে নৃশংস হামলা ও প্রথম আলোর বাঘা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদের ওপর হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা পুলিশের নিস্ক্রিয়তার কারণে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার শিবির সন্ত্রাসীরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত ছুটে আসে বাঘা থেকে এবং চিকিৎসাধীন কালামকে বাড়াবাড়ি করলে একেবারে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।

অভিযোগে জানা গেছে, গণবদলির কারণে ওসিবিহীন বাঘা থানার এক দারোগা শিবির সন্ত্রাসীদের অভয় দিয়েছেন গ্রেফতার না করার ব্যাপারে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারী জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন পুলিশ পাহারায় মিছিল করছে। যা এলাকার সংখ্যালঘুদের আরো ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছে। শিবির ক্যাডাররা বাঘা বাজারে ঘোষণা দিয়েছে, সাংবাদিক কালাম, অধ্যাপক হাশেম, ও নূরুকে এলাকায় কোনদিন ঢুকতে দেবে না। শিবিরের সন্ত্রাসীদের ভয়ে অধ্যাপক হাশেম এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। হামলাকারীরা প্রকাশ্যে মহড়া দেওয়ায় সংখ্যালঘুরা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও বাঘার পালপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুরা এখনো ক্ষতিপুরণ পায়নি।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যার পর জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা পালপাড়ার সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এই ঘটনার খবর পত্রিকায় প্রকাশ করায় শিবির সন্ত্রাসীরা প্রথম আলোর বাঘা প্রতিনিধি আবুল কালামের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। মামলা হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

প্রথম আলো, ৮ আগস্ট ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন