কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের সময় মোবাইল ফোনে ছবি তুলে রেখেছেন ধর্ষিতার মেয়ে। ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষিতার স্বামী (৬৫) বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী (৫০) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চার বছর আগে মারা যায়। আমার দুই ছেলে দুই মেয়ে। এক বছর আগে আমাদের পাশের গ্রামের বোবা মেয়েকে বিয়ে করে সুখে-শান্তিতে আছি। গত সপ্তাহে আমার বড় মেয়ে গ্রামে ঘরের কাজ শুরু করলে আমার স্ত্রীকে নেয় সহযোগিতা করার জন্য।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমার মেয়ে ও জামাতা কাজের জন্য অন্য কোথাও গেলে এই ফাঁকে রাজাপুর গ্রামের মৃত ছোবহানের ছেলে মহসিন (৫০) জোরপূর্বক আমার বোবা স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেছে। এ সময় ধর্ষকের মেয়ে এসে দেখে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে রাখে। বিষয়টি আমি ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে মহসিন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি বলেন, ওই পরিবারের সঙ্গে আমার বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে, আমি আমার জায়গায় সীমানার খুঁটি পুঁততে গেলে আমাকে মেয়েটি ধাক্কা দিয়ে তার মায়ের ওপর ফেলে দেয়, এর বেশি কিছু আমি জানি না।

এ ব্যাপারে তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাটি এক সপ্তাহ আগের। তবে এ ঘটনায় বাকপ্রতিবন্ধীর স্বামী বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আসামি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন