দিনাজপুরের বিরলে জামিনে থাকার পরও আদিবাসী জনগোষ্ঠী কড়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে গ্রেপ্তার করতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাদের প্রশ্ন- আদালতে জামিনে থাকার পরও কীভাবে গভীর রাতে পুলিশ এমন অভিযান চালাতে পারে।

 

জানা গেছে, দিনাজপুরের বিরলের রানীপুকুর ইউনিয়নের হালজায় ঝিনাইকুড়ি গ্রামে কড়া সম্প্রদায়ের ১৮টি পরিবারের বসবাস। জমিজমা দখল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২০১৯ সালের ৬ই মার্চ ওই গ্রামে হামলা করে কয়েকজন। হামলায় বিলুপ্তপ্রায় ওই কড়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আহত হন সাতোল কড়া, কেদু কড়া, কোলোকড়া, মিরন কড়া, মালন কড়াসহ ৭ জন।

কড়া সম্প্রদায়ের লোকজন জানিয়েছেন, ওই হামলাটি চালিয়েছিলেন ওই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল্লাহ আল কাফী, কামরুজ্জামান, কিবরিয়া, আব্দুল মান্নানসহ প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। যাদের হাতে অস্ত্রসহ ছিল লাঠিসোঠা। এই ঘটনায় আদিবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলার ৬ আসামিকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। পরে কড়া সম্প্রদায়ের লোকজন পুলিশকে জানায়, তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনে রয়েছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত থেকে মামলার প্রধান আসামি কৃষ্ণ কড়া, সাতোল কড়া, কেদু কড়া, সাপোল কড়া, বিমান কড়া, অঞ্চল কড়া, হিজল কড়া, সিজলী কড়াসহ ৯ জনকে জামিন দেয়া হয়।

কৃষ্ণ কড়া বলেন, এই মামলাটি হয়েছে ওই হামলার ঘটনার আগেই। এই মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা আদালত থেকে জামিনে রয়েছি। এরপরও রাতে আমাদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এই ঘটনায় আমরা ভীতিকর অবস্থার মধ্যে আছি। কখন কী হয় এই দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি।

বিরল থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব বলেন, ‘রাত ১২ টার দিকে বিরল থানা পুলিশ সেখানে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করতে যায়। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। কিন্তু তারা যে জামিনে রয়েছেন এ বিষয়ে কাগজপত্র থানায় না আসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পরে জামিনের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সেখান থেকে চলে এসেছে।’

সমকাল

মন্তব্য করুন