বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চণ্ডিজান গ্রামে গত ১০ আগস্ট সংখ্যালঘু পরিবারের এক তরুণী (১৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পাশের দামুয়া গ্রামের ধর্ষণকারী আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার অপরাধে ধর্ষিতার ভাইকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়। তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণকারী চক্র ঐ তরুণীকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।

ধর্ষিতার পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১০ আগস্ট রাত ৯টায় আব্দুল হামিদ পিতৃহারা ওই তরুণীকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর ধর্ষকের পক্ষ থেকে তরুণীর পরিবারকে জানানো হয়, এর উপযুক্ত বিচার গ্রামে বসে করে দেওয়া হবে। বিচারের পরিবর্তে ধর্ষকের লোকজন তরুণীকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় এবং নানা রকমের ভয় দেখায়। যার কারণে ধর্ষিতা গত ১৯ আগস্ট আদালতে মামলা করে।

ওই তরুণীর পরিবার থেকে জানানো হয়, মামলা করার পর তার ভাইকে ধর্ষকের লোকজন অপহরণ করে সাদা স্ট্যাম্পে সই নিয়ে ৫ ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়। এদিকে চণ্ডিজান গ্রামের লোকজন জানায়, আবদুল হামিদ উচ্ছৃঙ্খল যুবক।

প্রথম আলো, ২৭ আগস্ট ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন