নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে শ্রীমন্ত—পুর ইউনিয়নের শালবাড়ি হিন্দুপাড়ায় আশানন্দ ও তপন নামে ২ নৌকার কর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হলেই হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সেখানকার প্রবীণ সমাজকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাকেও লাঞ্ছিত করে। এমনকি হিন্দুদের পক্ষে কথা বললে তাকেও হত্যা করা হবে বলে শাসানো হয়েছে। পোরশা গ্রামে প্রায় দু’শ’ ঘর ফরিদপুরী অধিবাসী দীর্ঘ ৫ যুগ ধরে বসবাসকরে আসছে। তাদের ভোটার সংখ্যা ৩শ’ জনের বেশী। এবার তাদের নৌকায় ভোট না দেয়ার জন্য পোরশার বিএনপি সমর্থিত “শাহুরা” ভোটের আগের দিন শাসিয়েছিল। ভোটের দিন তারা বিডিআরের সহায়তায় ভোট কেন্দ্রে যায় এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে ৩ দিনের মধ্যে পোরশাছাড়ার হুমকি দিয়েছে জোটের শাহুরা। এছাড়া ওই আসনের আদিবাসীদের নৌকায় ভোট দেয়ার কারনে মারপিট করাসহ হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। নিয়ামতপুর উপজেলার “ভাবিচা” গ্রামে নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। সোমবার রাতের আঁধারে সেখানকার বারোয়ারী পুজামণ্ডপের প্রতিমাটি ভাংচুর করা হয়। নির্বাচনের পর প্রতিমা ভাংচুরের পাশাপাশি হিন্দুদের ওপর হামলা ও হুমকি-ধমকির ঘটনায় ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।

দৈনিক জনকন্ঠ, ১১ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন