নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর ২ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, উগ্রবাদী বই ও লিফলেট জব্দ করে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আষাঢ়ের চর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর র্যাব-১১ এর ব্যাটালিয়ান সদরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. সুমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা গোপালনগর বরুড়া থানার মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়ার ছেলে মো. কামরুল হাসান ভুইয়া (২৫) ও একই এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোজাহিদ হাসান (২০)।
এএসপি মো. সুমিনুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি মো. কামরুল হাসান ভুঁইয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগে পড়ালেখা করা অবস্থায় জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে এসব পড়ালেখাকে হারাম মনে করে বাড়ি ফিরে আসে ও পুরোপুরিভাবে জঙ্গি কার্যক্রমে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরেক আসামি মোজাহিদ হাসান ঢাকার সিটি ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে পড়ালেখা করছে। দেশে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করাই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে জানায়। এ লক্ষ্যে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগদান করে এবং পরবর্তীতে সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা এলাকার মাসুল হিসেবে দায়িত্বপ্তাপ্ত হয়।
অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বড় ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে আসছিলো তারা। এছাড়া সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য টেলিগ্রাম আইডি, প্রোটেক্টেড টেক্সট, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ভুয়া ফেইসবুক আইডি, ফেইসবুক গ্রুপ, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি ব্যবহার করে শিক্ষিত ও সমমনা তরুণদের উগ্রবাদী মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা আরও জানায় যে, তারা কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশে পাশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার সশরীরে ও অনলাইনে মিলিত হয়ে জেল হতে আটককৃত সদস্যদের মুক্ত করা, নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা ও সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিলো।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এএসপি মো. সুমিনুর রহমান।