সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের দল এবার লোলুপ দৃষ্টি ফেলে বৌদ্ধ মন্দিরের জমির উপর। মন্দিরের বিশাল জমি দখল করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা গত রোববার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং হাঙ্গারঘোরা গ্রামের একটি মন্দিরে হামলা চালায়। তারা মন্দিরের ঘেরা বেড়া, চালা উপড়ে ঘণ্টিটি ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। মন্দিরের একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুককে বেদম প্রহার করেছে। সন্ত্রাসীরা এই বর্বর হামলার সময় চিৎকার করে বলেছে শালারা নৌকায় ভোট দিয়ে এখানে বসবাস করতে পারবি না। যেখানে ইচ্ছা সেখানে চলে যাবার জন্যও তারা নির্দেশ দিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। স্থানীয় লম্বা ঘোনা এবং দরগাহবিল গ্রামের জাফর আলম, নূর আহমদ, মোহাম্মদ হোসেন, সমিউদ্দিন, নুরুদ্দিন ও জাহেদসহ ২০/২২ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বৌদ্ধ মন্দিরের পুরো জমি দখলের জন্য কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে তাণ্ডব চালায়। এ সময় মন্দিরের নানা জাতের ফলজ গাছ তারা কেটে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীর দল নির্বাচনের পর থেকেই বৌদ্ধ মন্দিরটি ভেঙ্গে মন্দিরের পুরো জমি দখল করে নেয়ার জন্য পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল। তারা সেখানে সশস্ত্র অবস্থায় পৌঁছে মহাশুদ্ধ বৌদ্ধ বিহার নামের এই মন্দিরের ভিক্ষু পাইঙ্গাপারাকে বেদম মারধর করে। এরপর তারা একে একে মন্দিরের বাউন্ডারি ঘেরা বেড়া এবং মন্দির ঘরের চালা উপড়ে ফেলে। এ ব্যাপারে মন্দিরের ভিক্ষু বাদী হয়ে উখিয়া থানায় রবিবার রাতে মামলা (নং-১৪ তাং ১৪,১০,২০০১) দায়ের করেছেন। উখিয়া সার্কেলের এসপি আর কে চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। উপরন্তু সন্ত্রাসীরা হুমকি দিচ্ছে।
আজাদী, ১৮ অক্টোবর ২০০১