গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের দয়ারাম গ্রামের পিন্টু কুমার দাস, সিবু, সুবাস ও সুধির নামে ৪ সংখ্যালঘুর ওপর হামলা চালিয়ে মারধরসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে পুলিশ আসামী ধরতে গিয়ে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এ পর্যন্ত থানা পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দয়ারাম গ্রামের মৃদুল কান্তি ভূষণের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মৃদুলের বাড়ীর লোকজন বাড়ীতে রাতে এক ধর্মীয় গানের আয়োজন করলে এ সময় একই গ্রামের শাজাহান আলী তার লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গানের অনুষ্ঠানটি পন্ড করে দেয় এবং গানের সমস্ত বাদ্যযন্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এমনকি গানের অনুষ্ঠানের লোকজন যারা বাড়ীতে খেতে বসেছিল তাদের ভাতের থালা ফেলে দেয়। বাড়ীর লোকজনকে বেদম মারধর করে বাড়ী থেকে টিভি, ক্যাসেট, রেডিও, ফ্যান, সর্ণালংকার, নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরা সুবাসের বাড়ী গিয়ে তার ছোট ভাইকে মাঠের মধ্যে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী সুধীর কুমারের বাড়ী গিয়ে টিভি, ক্যাসেট, সর্ণালংকার, কাপড়, টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সেই সাথে বাড়ীর লোকজনকেও বেদম প্রহার করে। সিবু কুমারের বাড়ী গিয়ে একই রকম ঘটনা ঘটায়। মারপিটে আহতদের পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের দেখার উদ্দেশ্যে বাবু, সিবু যাচ্ছিল এমন সময় পিন্টু, মিন্টু, কালাম তাদের মারধর করে এবং জীবননাশের হুমকি দেখায় ও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এ ব্যাপারে পিন্টু কুমার দাস বাদী হয়ে গত ১ মার্চ পাংশা থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ হালিম (১৫), ফরিদ (২৬), টুকু (৩০), ওবায়দুল (২০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউর আলী খান প্রধান আসামী শাজাহানের বাড়ীতে গ্রেফতার করতে গেলে তাকে দা দিয়ে কোপাতে গেলে তা প্রতিহত করে প্রধান আসামী শাজাহানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যপারে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খবর, ৬ মার্চ ২০০২

মন্তব্য করুন