গাবতলী উপজেলায় বউদির (ভাবি) শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় দেবর অমৃত রায় নামক এক হিন্দু যুবককে কিল ঘুষি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের পার কাঁকড়া ভাঙ্গিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অমৃত রায় ওই গ্রামের অনীল রায়ের ছেলে।

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অমৃত রায়ের ভাই বৃহস্পতিবার সকালে ইজিবাইক চালাতে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় তার স্ত্রী বাড়িতে একাই ছিলেন। এ সুযোগে সকাল সাতটার দিকে প্রতিবেশী এনামুল হকের ছেলে রিফাত হক বাড়িতে প্রবেশ করে। সে ওই গৃহবধূকে জাপটে ধরে। গৃহবধূ চিৎকার দিলে অমৃত রায়সহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা রিফাতকে আটক করেন। খবর পেয়ে তার বাবা এনামুল হক সেখানে যান। তিনি ছেলেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে এনামুল অমৃত রায়ের গলার টুঁটি চেপে ধরেন। পরে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এ সময় বুকে আঘাত পেয়ে অমৃত রায় অচেতন হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী-সারিয়াকান্দি সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় নিহত অমৃত কুমারের বাবা অনীল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে পিতা এনামুল হক ও ছেলে রিফাত হককে আসামি করে গাবতলী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে এনামুল হক এবং তার কিশোর ছেলে পলাতক। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দৈনিক আমাদের সময়

মন্তব্য করুন