শেরপুরে চাঁদার দাবীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে মারপিট ভাংচুর-নগদ টাকা ও সোনার গহনা লুট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আটজন হয়েছে।

 

অভিযোগে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার পৌরশহরের পূর্ব ঘোষপাড়ায় গত ২৯মে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায় বিশ্বনাথ মোহন্তের পুত্র বিপুল চন্দ্র মোহন্তের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদার দাবীতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় একই পাড়ার আব্দুল গফুর (৪৮) ও তার পুত্র সেলিম (২৫) শাহেব আলী(৪৫) সোহেল রানা(৩০) সহ অজ্ঞাত নামা ৪০ থেকে ৪৫ জন সন্ত্রাসী।
বাড়ির মালিক বিপুল মোহন্ত জানায়, আমার পিতা শেরপুর শহরের সান্যাল পাড়ার আদি বাসিন্দা। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া পিতার সম্পত্তিতে বাবা-কাকা সহ চার ভাইয়ের একত্রে বসবাসের সমস্যা হওয়ায় আমি শেরপুর শহরের পূর্ব ঘোষপাড়ায় জগন্নাথ মোহন্তের জমিতে ভাড়ায় উঠি। এর একপাশে মিষ্টির কারখানা এবং অপর পাশে কোন রকমে বসবাস করে আসছি। সেখানে আমার মিষ্টির কারখানায় প্রায় প্রতিদিনই চাঁদার দাবীতে উল্লেখিত লোকজন এসে ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে আসতো। এরমাঝে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গত ঈদের আগে প্রায় লক্ষাধিক টাকা চাঁদা নিয়ে যায়।

এরপর আবারো মোটা অংকের চাঁদার দাবী না মেটানোর কারণে গত ২৯মে শুক্রবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলার সময় বাসার ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা, তের আনা সোনার চেন ও কানের দুল সহ কারখানার একটিন সোয়াবিন তেল, একবস্তা চিনি সহ বেশ কিছু দামী দামী আসবাব পত্র লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে হামলার সময় বাঁধা প্রদান করায় বিপুল মোহন্ত(৪৫) তার স্ত্রী রমা রানী মোহন্ত(৪০) বিপুলের ভাই বিমল মোহন্ত (৪৪) পুত্র জয় মোহন্ত(১৫) এবং বর্ষা মোহন্ত(১৬)কে বেদম মারপিট করে রাস্তার ওপরে ফেলে রাখে। সন্ত্রাসীরা কারখানার হাঁড়ি পাতিল ও গামলা ভাংচুর করে। বাড়ির ঢেউটিনের বেড়ায় ভাংচুর চালায়। এঘটনার পর শেরপুর থানায় খবর দেয়া হলে শেরপুর শহর পুলিশ ফাঁডির আবু তাহের রাতেই ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শেরপুর থানার ওসি তদন্ত জানান, উক্ত ঘটনা নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। আহতরা শেরপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

মানব জমিন

 

মন্তব্য করুন