আহম্মেদ সাব্বির নামে একজন মালামাল সরবরাহকারী ব্যক্তিকে বগুড়া পুলিশ লাইন্সের অফিসার্স মেসে ডেকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এএসপি কুদরত-ই-খুদা শুভর বিরুদ্ধে।

ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে তাদের চাহিদামতো মালামাল সরবরাহ করে থাকেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সরবরাহকারী সাব্বির জানান, এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এসপি বলছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাব্বিরের অভিযোগ, সম্প্রতি তিনি মগ সাপ্লাই বাবদ এক লাখ ৪৩ হাজার টাকার একটি বিল তিন কিস্তিতে পান। বিল পাওয়ার পর মগগুলোর সরবরাহকারী ও ব্যবসায়ী লেবুকে ৯০ হাজার টাকা দেন। অবশিষ্ট টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ব্যবসায়ী লেবু এএসপি কুদরত-ই-খুদা শুভর কাছে নালিশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এএসপি কুদরত-ই-খুদা শুভ ১২ মে রাত ১১টার দিকে সাব্বির ও লেবুকে পুলিশ লাইন্সে ডেকে পাঠান। বাকি টাকা কয়েকদিন পর লেবুকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু এএসপি শুভ ক্ষুব্ধ হয়ে নিজে, তার গার্ড ও ড্রাইভারকে নিয়ে লাঠিপেটা করেন তাকে। এরপর রাতেই সদর থানায় জিডি করতে যান সাব্বির। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় জিডি গ্রহণ করেনি থানা। এ ব্যাপারে এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর তিনি সোমবার (১৩ মে) দুপুরে এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

সাব্বির আরও জানান, আগের একটি প্রাপ্য বিল নিয়ে কিছুদিন আগে এএসপি শুভর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর প্রতিশোধ নিতেই তাকে পেটানো হয়েছে।

সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, সাব্বির মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত ঊর্ধতন কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে এসপি সাহেবের কাছে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ‘অভিযোগকারী আমার সঙ্গে দেখা করে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, শুভ বগুড়া থেকে বেতনভাতা পেলেও তিনি বর্তমানে এখানে কর্মরত নেই। তিনি আরডিএ’তে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে আছেন। তাই তাকে ফোনে পাওয়া যাবে না।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন