র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি মানিক। ২১ মে শুক্রবার ভোরে মিরপুরের রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম সজল গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতরাতে আমাদের কাছে তথ্য আসে সাহিনুদ্দিন হত্যায় জড়িত মানিকসহ কয়েকজন ঢাকা থেকে পালানোর জন্য মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান নেয়। র‍্যাব-৪ এর দল সেখানে অভিযানে যায়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে মানিকসহ তার সঙ্গীরা। র‍্যাবও গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মানিকের মরদেহ পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল অস্ত্র-গুলি ছাড়াও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গতকাল কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। তিনি সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি।

গত ১৬ মে ছয় বছর বয়সী ছেলের সামনে খুন হন পল্লবীর বাসিন্দা সাহিনুদ্দিন (৩৩)।

ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের অন্যতম ছিলেন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মানিক।

মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম উল্লেখ করেছেন, ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন।

সাহিনুদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিনুদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহতের মায়ের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন