বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে বুধবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম শাহ আলম (৪৫)। ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশি বন্দুক ও তিনটি কার্তুজের গুলি জব্দ করা হয়েছে বলে ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে।

 

ঘুমধুমের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের কাছাকাছি দক্ষিণ ঘুমধুম এলাকার সড়কের পাশে গভীর রাতে গুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নারী সদস্য খালেদা বেগম জানিয়েছেন, রাতে গোলাগুলির শব্দে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে জানতে পারেন, রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহ আলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। তিনি উখিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শাহ আলমকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার তথ্য পাওয়া যায়। তাঁকে নিয়ে অভিযান চালানোর সময় মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি ছোড়ে। তখন শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে শাহ আলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ৪০ হাজার ইয়াবা, বন্দুক ও গুলি জব্দ করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, পুলিশের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়া থানার তিনটি মাদক মামলার পলাতক আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে নিয়ে অভিযানের সময় ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এ সময় পুলিশের দুই সদস্য হালকা আহত হন।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন