ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মসজিদের ইমামকে। ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

ইমামের কর্মস্থল থেকেও তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত ইমামের নাম হাফেজ মুক্তার হোসেন (৩৭)। তিনি পার্শ্ববর্তী আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার এক ছাত্র (১৬) একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতেন। তাকে গত দুবছর আগে নিজের খাদেম বা সেবক হিসাবে নিয়োগ করেন এক মসজিদের ইমাম এবং ওই ছাত্রের শিক্ষক হাফেজ মুক্তার হোসেন। অভিযোগ উঠে ইমাম সেবাযত্নের সুযোগে ছাত্রটিকে ধর্ষণ শুরু করেন। ওই ছাত্র এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিবৃত্ত করা হতো।

আরও জানা যায় সম্প্রতি ছাত্রটি অতিষ্ঠ হয়ে তার পরিবারের লোকদের জানায়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্রটির বাবা নবীনগর থানায় মামলা করেন। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ওই ইমামকে শিবপুর এলাকা থেকে আটক করে ফাঁড়ি পুলিশ।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্র ও তাদের অভিভাবকেরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, হাফেজ মুক্তার উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির মানুষ। এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছে তিনি মাদ্রাসার ওই ছাত্রকে নিয়মিত বলাৎকার করতেন। এমনকি তাকে বাড়িতেও যেতে দিতেন না। তাকে মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ বলেন, মাদ্রাসার ইমাম হাফেজ মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন