রংপুর সিটি করপোরেশনের হারাগাছ এলাকায় জুম্মাপাড় জামে মসজিদের টাকা কালেকশনকে কেন্দ্র করে কমিটির দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিন জন। আহতদের গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

 

হারাগাছ মেট্রোপলিটান থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, হারাগাছ পৌরসভার জুম্মার পার জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা সাহায্য নেওয়া হয়। ওই টাকা থেকে ২৫ শতাংশ অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা করার সিদ্ধান্ত নেয় নতুন কমিটির ভেলু মিয়া ও তার লোকজন। মসজিদের টাকা ভাগ-বাটোয়ার বিষয় নিয়ে আপত্তি তোলেন পুরাতন কমিটির দয়াল মিয়া। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে এই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মাগরিবের নামাজের পর পুরাতন কমিটির দয়াল মিয়া মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালায় ভেলু মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকেরা। এ নিয়ে দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দয়ালের বোন জামাই নাজমুল আলমসহ চার জন গুরুতর আহত হন। তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার মূল নায়ক ভেলু মিয়া ও তার দুই ছেলে লিয়ন ও রিপনকে গ্রেফতার করে। হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, শুক্রবার লাশ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন