জামায়াত-শিবিরের ডাকা সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে ৪ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জে শহীদ মিনারের গণজাগরণ মঞ্চে হরতালের সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে।

 

এ সময় শহীদ মিনারের বেদিতে তাঁরা জুতা পায়ে উঠে যান। সেখানে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে উল্লাস করেন এবং শহীদ মিনার ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা উপজেলা কার্যালয় থেকে জঙ্গি মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মিছিল নিয়ে পুলিশের সামনেই স্থানীয় শহীদ মিনারের গণজাগরণ মঞ্চে হামলা চালান। পরে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ওই হামলার প্রতিবাদে মিছিল ও সভা করে। উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সরকারের নেতৃত্বেও পৃথক বিক্ষোভ মিছিল হয়।
শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা গণজাগরণ মঞ্চের নেতা ডিউক চৌধুরী, পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা, মমতাজ আলী, আনোয়ারুল হক, আবদুর রাজ্জাক, রুহুল আমিন সরকার প্রমুখ। বক্তারা ওই গণজাগরণ মঞ্চে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ রাজাকার ও মানবতাবিরোধীদের ফাঁসি কার্যকর এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
স্থানীয় গণজাগরণ মঞ্চের নেতা ডিউক চৌধুরী বলেন ‘গণজাগরণ মঞ্চে হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে।’
বদরগঞ্জ থানার ওসি নুরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ না থাকার সুযোগে আকস্মিকভাবে মিছিল নিয়ে এসে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ এ ঘটনার পরপর বদরগঞ্জ পৌর শহরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন