দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা, সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রবিবার বিকেলে মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা মোর্শেদ আলী, আশরাফ হোসেন আশু, আব্দুল মালেক, রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমূখ বক্তৃতা করেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা না দিতে পারলে ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়ে ফেলবে সরকার। আমরা নেতা-মন্ত্রীদের বিবৃতি দেখতে চাই না, চাই পদক্ষেপ। এদিকে ১১ দলের কেন্দ্রীয় নেতা মনজুরুল আহসান খান, সাইফুদ্দিন মানিক, নির্মল সেন রবিবার সকালে গোপালগঞ্জ, মোল্লারহাট, ফকিরহাট, বাগেরহাটের সংখ্যালঘুদের নির্যাতিত এলাকা সফর করেন। নেতৃত্ব বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানান। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন বিকেলে গাইড হাউস প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক সমাবেশে ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নাট্যকর্মি আসাদুজ্জামান নুরের বাসায় বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানান। সমাবেশে বক্তৃতা করেন, লিয়াকত আলী লাকী, গোলাম কুদ্দুস ও সামসুল হক। সমাবেশ শেষে একটি মৌন মিছিল প্রেসক্লাব গিয়ে শেষ হয়। বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানানো হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী এক বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, তাঁদের ওপর এই নির্যাতন নিপীড়ন কি স্বাধীনতা অর্জনের পুরস্কার? তাছাড়া বাংলাদেশ ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সংখ্যালঘুদের হামলার তীব্র নিন্দা জানান।

দৈনিক জনকন্ঠ, ৬ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন