সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ী গ্রামের চার সন্তানের জননী এক বিধবা নারীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ এপ্রিল বুধবার রাতে উপজেলার কুলতলী এলাকার একটি চিংড়ি ঘেরের ঘরে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী বাদি হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, মেজ মেয়েকে বিয়ে দিতে পাত্র দেখার জন্য তিনি ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার কদমতলা গ্রামে যান। বুধবার বিকালে ঘটক কুলতলী গ্রামের অফেজউদ্দীন গাজীর ছেলে মহসীন হোসেন তাকে পাত্রের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কুলতলী এলাকায় নিয়ে যায়। নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণের পর সন্ধ্যার পর পাশের চিংড়ি ঘেরের ঘরে আটকে তাকে ধর্ষণ করেন ঘটক মহসীন ও তার চার সহযোগী। পরে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে দুই ঘের কর্মচারী আলমগীর হোসেন ও সুধাংশু মন্ডলের সহায়তায় তিনি গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
নুরনগর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম জানান, মহসীন ও তার চার বন্ধু সফিকুল ইসলাম, সফিকুর রহমান বাবু, গোলাম রব্বানী ও আব্দুল হান্নান বিধবা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে শ্যামনগর থানায় পৌছে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, মেয়ের জন্য নির্ধারিত পাত্রকে দেখানোর কৌশলে ধর্ষকরা কুলতলির একটি চিংড়ি ঘেরের বাসায় নিয়ে তার ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায়।
ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধারের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী হাফিজুর রহমান নাইম জানান, সফিকুল ইসলাম স্থানীয় চেয়ারমানের নিকটাত্বীয় হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা চালানো হয়। সফিকুকের দুই ভাই আগের একটি ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। প্রভাবশালীদের ভয়ে হতদরিদ্র বিধবা ওই নারী মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না।
শ্যামনগর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরই মামলা রেকর্ড করে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।