নির্যাতন থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভারতে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরা সীমান্তে নারী, শিশুসহ ৭৭ জন সংখ্যালঘুকে বিডিআর আটক করেছে। আটককৃতদের বাড়ি বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে। এদের মধ্যে ৫ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছে। পুলিশ জানায়, ২৩ মে ভোরে কলারোয়া উপজেলার ঠাকুরবাড়ি এলাকা থেকে বিডিআর ১০ জন মহিলা, ৮ জন শিশুসহ ৭৭ জন সংখ্যালঘুকে আটক করে। এদের মধ্যে ৫ জন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছে। আটককৃত সংখ্যালঘু সদস্যরা সাংবাদিকদের জানায়, গত নির্বাচনের পর বিএনপি সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। ইতোমধ্যে তাদের এলাকার অনেকেই নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে ভারতে চলে গেছে। তারা আরও জানায়, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের দিঘিরাজপুর এলাকার ছাত্তার ও আজিজ সংখ্যালঘুদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করছে। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে এসব সংখ্যালঘু ভারতে যাচ্ছিলেন। এদিকে এ দলের সঙ্গেই বিডিআর ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ২ শিশু, ৪ বৃদ্ধা ও এক বৃদ্ধকে আটক করেছে। আটককৃত ভারতীয় নাগরিকরা হচ্ছে ভারতের কাঁচড়াপাড়ার ধীরেন্দ্রনাথ হিরা (৮৫), হুগলির চূঁচূড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকার চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের স্ত্রী মালতি রানী বিশ্বাস (৭০), কালিতলার নিতাই কর্মকারের স্ত্রী মমতা কর্মকার (৭১), তার ছেলে অসীম কর্মকার (৭), নদীয়ার বিষ্ণুপুর গ্রামের জয়ধর বিশ্বাসের স্ত্রী আল্লাদী বিশ্বাস (৬০) ও গাইঘাটা কালিতলার জ্ঞানেন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী রেনুকা মণ্ডল (৫০)। আটককৃতরা জানায়, তাদেরকে পিরোজপুরের নাজিরপুর এলাকার কালা দালাল ভারতে নিয়ে যাচ্ছিল। বিডিআর দেখে সে সটকে পড়ে। আটককৃতদের নামে কলারোয়া থানায় মামলা হয়েছে। এদেশে বেড়াতে আসা ভারতীয় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা (নাগরিকরা) সাতক্ষীরা জেলহাজতে মানবেতর রয়েছে বলে সূত্র জানায়।

সংবাদ, ২৯ মে ২০০২

মন্তব্য করুন