নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও তাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। অনেকে নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র চলে গেছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের প্রতিনিধি নাহিদ আজাদ জানিয়েছেন, বিএনপিসহ চার দলীয় জোটের নেতৃত্বে আগামী সরকার গঠনের আগেই একটি চিহ্নিত মহল নারায়ণগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে, গুলিবর্ষণ করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। এদিকে একদল মুখোশধারী শনিবার ভোরে শহরের দেওভোগ এলাকায় লক্ষ্মীনারায়ণ আখড়া ও গলাচিপায় রামকানাই জগন্নাথ জিউর আখড়ায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়েছে। আমাদের লৌহজং প্রতিনিধি সাইদুর রহমান টুটুল জানিয়েছেন, লৌহজং উপজেলায় স্থানীয় কাজল, শ্যামল, তাপস, রোমান, চুন্নু, কামাল, খোকাসহ কয়েকজন রাত দশটায় খিদির পাড়া বিষ্ণু দাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পূজা মণ্ডপ ভাংচুর করে। এ ঘটনায় বাড়ির বাসিন্দারা আহত হয়েছে। মাগুরার শালিখা থেকে আমাদের প্রতিনিধি স্বপন বিশ্বাস জানিয়েছেন, নির্বাচনে বিএনপিসহ চারদলীয় জোটের বিজয়ের পর একটি চিহ্নিতমহল সুপরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ফলে সংখ্যালঘুরা আত্মরক্ষার জন্য অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীরা আত্মগোপন করে থাকারসুযোগে চিহ্নিত মহলটিএইহামলাচালাচ্ছে। থানার বাউনিয়া, বুনাগাতি, গঙ্গারামপুর, পুকুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে বুনাগাতি কলেজের শিক্ষক পরিমল ও তার স্ত্রী, গঙ্গারামপুর গ্রামের বিমল গুহ, খোকন সিকদার আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শিক্ষক পরিমল আত্মসম্মান রক্ষার্থে রাতের আঁধারে ভারত চলে গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নবনির্বাচিত সাংসদ কাজী সালিমুল হক এ জাতীয় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সবাইকে সংযত হবার আহবান জানিয়েছেন।
আজকের কাগজ, ৮ অক্টোবর ২০০১