মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব ক্যাপ্টেন (অবঃ) শচীন কর্মকার এক যুক্ত বিবৃতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক হানাহানি, নির্বাচনের পরেও সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি লুটপাট, ধর্ষণ ও নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে একই পন্থায় বর্বরতা ও লাঞ্ছনার শিকারে পরিণত করা হচ্ছে। অথচ দেশের পুলিশ বাহিনী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসব পৈশাচিক কর্মকাণ্ড ও উল্লাসে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে মাত্র। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে মানবতা লাঞ্ছিত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুন্ঠিত হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলার মুক্তিকামী মানুষ তা সত্ত্বেও যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় দলমত নির্বিশেষে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন সচেতন দেশপ্রেমিক জনতাকে হায়েনাদের এ হিংস্র ছোবলের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তারা সকল থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৯৭১-এর ন্যায় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের প্রাথমিক আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক জনকন্ঠ, ১৪ অক্টোবর ২০০১