কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জামসেদ আলম নামে এক পল্লী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের বাকিহাটি গ্রামের কাজীবাড়ি মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জামসেদ আলম।
এ ঘটনায় ৮ আগস্ট শনিবার রাতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার বাকিহাটি গ্রামের কাজীবাড়ির মসিজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কাজী নজির আহম্মেদকে সভাপতি ও ডা. কাজী ইয়াছিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় সাবেক ইউপি সদস্য জাকারুল্লাহ, নাসিম হায়দার শাহীন, কালামিয়া, মনির ও আবু ইউছুফ এবং কাজীবাড়ির হুমায়ুন কবির, মোস্তাক আহমেদ ও কাজী কবির বৈঠকে বসেন। বৈঠকের একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে জাফরুল্লাহ গ্রুপ ও হুমায়ন গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে পল্লী চিকিৎসক জামসেদ আলম ভূঁইয়াসহ ১৩ জন আহত হন। এতে মাথায় গুরুতর আহত অবস্থায় জামসেদ আলম ভূঁইয়াকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শনিবার ভোররাতে তিনি মারা যান। ওসি বখতিয়ার চৌধুরী বলেন, মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই খুন হন পল্লী চিকিৎসক জামসেদ আলম ভূঁইয়া। এতে ছেলে তোসাদ্দেক হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।