রাজবাড়ীতে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে মানহানির আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। ১২ আগস্ট বুধবার রাজবাড়ী ২ নম্বর আমলি আদালতে মামলা দুটি করা হয়।
মামলা দুটির দুই বাদীই আওয়ামী লীগের নেতা। তাঁদের মধ্যে একজন আতিউর রহমান নবাব। তিনি কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরজন এ বি এম রোকনুজ্জামান। তিনি মদাপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আদালতের বিচারক মৌসুমী সাহা এ বিষয়ে তদন্ত করে ৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলা দুটির বাদীপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার দাস।
আতিউর রহমান নবাবের মামলায় বলা হয়, বিবাদী তাঁর ফেসবুক আইডিতে ৩১ জুলাই ‘রাজবাড়ীর কর্মবীর মো. জিল্লুল হাকিম ও নিন্দুকের বন্দনা, সে একজন চোরকে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়েছেন’ এবং ৩ আগস্ট ‘কালুখালীর এক নবাব হলেন গরিবের চাল চোর’ উল্লেখ করে অসত্য ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেন। এতে বাদীর এক কোটি টাকা মানহানি হয়েছে।
অপরদিকে এ বি এম রোকনুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, বিবাদী তাঁর ফেসবুক আইডিতে বাদীর নাম উল্লেখ করে ‘রোকন ডাকাত, হলুদ চোর রোকন, প্রতারক, কখনো বা চার বউ আলা রোকন, বাদীর পিতা লুটকারী ও গণবাহিনীর সদস্য, ডাকাতি মামলায় ১২ বছরের সাজা হয়’ ইত্যাদি উল্লেখ করে অসত্য ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেন। এতে বাদীর দুই কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।
এর আগে ৫ আগস্ট পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী মনোয়ার হোসেন জনি ও ২৯ জুলাই কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রতনদিয়া রজনীকান্ত মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম শিক্ষক ইউসুফ হোসেন বাদী হয়ে প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।