কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়ায় মসজিদের মাইকে লোক জমায়েত করে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে গ্রামবাসী। স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ ঠেকাতে মাদরাসা কমিটির লোকজনের উসকানিতে এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে কমপক্ষে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
এই ঘটনায় আহত ১০ জনকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। মাদরাসা কমিটির লোক ও মাইকে উসকানিদাতা আবু সৈয়দ ফজলী নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর ভাই মো. কালুকে পুলিশ এরই মধ্যে আটক করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আলম এবং সহসভাপতি আবু তাহেরের বিরোধের কারণে সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের নির্মাণকাজ আটকে রয়েছে। সৈয়দ আলম সোনারপাড়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং আবু তাহের হচ্ছেন সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এই দুটি প্রতিষ্ঠান একই এলাকায় ও পাশাপাশি। প্রতিষ্ঠানের জমি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী কমিশনার-ভূমি আমিমুল এহেসান খান স্কুল ভবনটির নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যান। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জমায়েত করে কর্মকর্তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, অজুহাত তুলে সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা মেনে নেওয়া হবে না।
সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু তাহের বলেন, বাধার কারণে ভবন নির্মাণের টাকা ফেরত গেছে। এবারও টাকা ফেরত যাওয়ার শঙ্কা দেখা গেছে। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটি মাঠ নষ্ট হওয়ার অজুহাত তুলে কাজে বাধা দিচ্ছে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ‘বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে আমাদের আপত্তি নেই। যত আপত্তি স্থানীয় গ্রামবাসীর।’