মাদারীপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এক বন্দিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম হযরত মাতুব্বর (৫০)। তার বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার গাছবাড়ী গ্রামে।

 

বুধবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে জানা গেছে।

মাদারীপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ ও ২২ জুলাই সদর থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন হযরত।

পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।

বুধবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

স্বজনদের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, “আমার স্বামী সুস্থই ছিলেন। কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। কারা কর্তৃপক্ষ আমার স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।”

তবে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তির শরীরে নির্যাতনের কোনো চিহ্ন নেই।

ইতোমধ্যে তার মরদেহের একটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ফলাফল হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

হযরতের স্বজনদের অভিযোগ অস্বীকার করে মাদারীপুর কারাগারের সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ হয়ে পড়ার পরপরই ওই বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন