দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং তা বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গতকাল রোববার নগরীতে আমরণ অনশন, রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বাংলাদেশের সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত ১২ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনের গতকাল রোববার তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। তৃতীয় দিনে ১০/১২ ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন সাংকেতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকের, আলী যাকের। অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সচেতন ছাত্রসমাজের যুগ্ম আহবায়ক দীপক গোশ্বামী সুমন আগামী দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য স্থানীয় যুবকদের সদস্য করে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গঠনের আহবান জানান। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সংখ্যালঘুদের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করে প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনকারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে আবার মিছিল নিয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। পরে হাসান তারিক চৌধুরী সোহেলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সচিবের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেনবুয়েটের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে একটি মৌন মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণশেষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে। এ সময় বুয়েটের পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ নেয়। তাদের মুখে কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা এবং তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের মৌলবাদবিরোধী ফেস্টুন ছিল। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণশেষে শহীদ মিনারে গিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে। এ সময় বক্তব্য রাখেন মোশারফ হোসেন। গত শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে থাকলে ছাত্রদলের ১০/১৫ জন ক্যাডার তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৪/৫ জন ছাত্র আহত হয়েছে। এর মধ্যে অর্জুন বসু (মার্কেটিং) নামে একজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ, ১৫ অক্টোবর ২০০১