সিলেটে জেল থেকে বের হওয়ার কয়েকদিন পরই তিন সন্তানের জননী এক বিধবাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক লন্ডন প্রবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক খোকন ওই বাসার মালিক মৃত কুদরত আলীর ছেলে।

 

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর একটি বাসায় ঘরের সামনে বিধবাকে একা পেয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালান খোকন। এ সময় বিধবার চিৎকারে ঘরের মানুষজন বেরিয়ে এলে খোকন বিধবাকে ছেড়ে দেয়। তবে এ সময় সে রামদা নিয়ে ভাড়াটিয়াদের শাসাতে শুরু করলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ এ কল করেন বিধবার ভাগ্নে।

জরুরি কল পেয়ে স্থানীয় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ও আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় অভিযুক্ত খোকনকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের করা হয়েছে।

বিধবার ভাগ্নে জানান, তার খালাকে একা পেয়ে ধর্ষণের উদ্দেশে খোকন টানাটানি করে, তার জামা কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে। ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে দা দিয়ে সবাইকে কোপ দিতে আসে।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত খোকন দীর্ঘদিন ধরেই তার খালাকে নানাভাবে বিরক্ত করে আসছিল। বাড়ির মালিক হওয়ায় ভাড়াটিয়া বিধবা অনেকটা নিরুপায় হয়েই এতদিন চুপ করে ছিলেন। অভিযুক্ত খোকনের বিরুদ্ধে তার নিজ স্ত্রীর দায়ের করা একটি নারী নির্যাতন মামলাও আছে। এই মামলায় জেলে খেটে কয়েকদিন আগেই সে বের হয়েছে।

এ ব্যাপারে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ এ ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার হুমকির কল পেয়ে আমরা ওই বাসায় ছুটে যাই। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছি।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির যুগান্তরকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ওই বিধবার দায়ের করা মামলায় আটক খোকনকে ২৪ জুলাই শনিবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন