কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত’ জকির বাহিনীর এক সদস্য নিহত এবং পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও গুলি।
৭ জুন রোববার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহত মোহাম্মদ শরীফ (২৬) টেকনাফের জাদিমুরা শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ওরফে মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদ শরীফ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তিনি রোহিঙ্গা ডাকাতদল ‘জকির বাহিনীর’ সদস্য। ডাকাতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি প্রদীপ বলেন, রোববার ভোরে টেকনাফের জাদিমুরা শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরের নেতৃত্বে সশস্ত্র লোকজন অবস্থান করছে-এমন খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতদলের সদস্যরা গুলি ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশের ২ সদস্য আহত হন। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পিছু হটে গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে পাওয়া যায় দুটি দেশীয় বন্দুক, ৭টি গুলি ও ৮টি গুলির খালি খোসা।
ওসি বলেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিসহ আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখানে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।