মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারের গোপাল দত্তের দোকানপাট পুলিশের মদদে জামাতের স্থানীয় আমীর আব্দুল মালিক তিন দফায় প্রকাশ্যে ভাঙচুরের পর লুট করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐ দোকানের জায়গা জমি নিয়ে গোপাল দত্তের সঙ্গে জামাত নেতা আবদুল মালিক গংদের মামলা চলছিল। জমিটির দখলের উদ্দেশ্যে প্রথম দফা আবদুল মালিকের সন্ত্রাসীরা ২৮ অক্টোবর, দ্বিতীয় দফায় ৭ নবেম্বর ও তৃতীয় দফায় ১০ নবেম্বর দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে। তারা দোকান ঘর, মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে। নির্যাতিত গোপাল দত্ত এর বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত ঐ জমির ওপর জারি করে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আদালতের আদেশও মানছে না। এর আগে কয়েক দফায় ঐ লুটপাটের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বরং তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকেই সমর্থন ও আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। এ ছাড়া সাবেক সাংসদ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সালিসি বৈঠক হলেও জামাতনেতা আবদুল মালিক আপোষরফা মানেনি বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের অভিযোগ।
ভোরের কাগজ, ৯ ডিসেম্বর ২০০১