গতকালের শ্রীলঙ্কায়  ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জন্য ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতকে দায়ী করেছেন শ্রীলঙ্কান সরকার। এদিকে হামলার প্রতিক্রিয়ায় মুসলামানদের একটি মসজিদের প্রেট্রোল বোমা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ছবিঃ হিন্দুস্থান টাইমস থেকে সংগ্রহীত

রবিবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর তিনটি গীর্জা ও তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলসহ কমপক্ষে আটটি স্থানে ইসলামী সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতী ঘৃণ্য বোমা হামলায় ইতিমধ্যে ২৯০ জনের বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরো পাঁচ শতাধিক। গতকালই বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই হামলার সাথে ইসলামী সন্ত্রাসীদের যুক্ত থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছিল। শ্রীলঙ্কার ইংরেজী পত্রিকা ডেইলি মিরর সূত্রের বরাত দিয়ে দুইজন সন্ত্রাসীর নাম ও আত্মঘাতী হামলার তথ্য প্রকাশ করেছিল যারা ইসলামী সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত।

হামলার দশদিন আগে, গত ১১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে কলম্বোর গীর্জাগুলো ও ভারতীয় দূতাবাসে সম্ভাব্য জঙ্গী হামলার ব্যাপারে সতর্কবার্তা প্রেরণ করেছিলেন। এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) নামক একটি ইসলামী উগ্রপন্থী দলের নামের উল্লেখ করা হয়েছিল যারা গতবছর বৌদ্ধ উপাসনালায়ে হামলা চালিয়ে বৌদ্ধমূর্তি ভেঙ্গে আলোচনায় চলে এসেছিল। যদিও এই হামলার জন্য এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার করে নি।

আজ দুপুরে শ্রীলঙ্কার সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) নামক  ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে গতকালের আত্মঘাতী হামলাগুলোর জন্য দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া তারা এই গোষ্ঠীটির সাথে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কোন জোগসাজেশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।  এই হামলার সাথে জড়িত তেইশজনেরও বেশি সন্ত্রাসীকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।

No photo description available.

এদিকে গতকালের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শ্রীলঙ্কার পুত্তালুম জেলায় রবিবার রাতে অন্তত একটি মসজিদে পেট্রোল বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া বান্দারাগামা এলাকায় মুসলিম মালিকানাধীন দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্পানিশ সংবাদ মাধ্যম এজেন্সিয়া ইএফি।

রবিবারের ঘটনায় উত্তেজনা ও গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দুই দিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বার্তা পাঠানোর অ্যাপস দেশটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে করে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানো রোধ করা যায়।

বুমেরাং নিউজ । ইএফই । হিন্দুস্থান টাইমস

 

মন্তব্য করুন