কচুয়া পৌরসভায় ৪নং ওয়ার্ডের কড়–ইয়া গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি বাড়িতে শুক্রবার দুপুরে দু’ দফা হামলা হয়েছে। চারদলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত জনসভায় যোগ দেয়ার জন্য আসা এবং জনসভাশেষে যাওয়ার পথে বিএনপি কর্মীরা ওই হামলা চালায়। স্থানীয়ভাবে ‘পার্টিকর’ বাড়ি নামে পরিচিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই বাড়ির ছয়টি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও তছনছ চালানো হয়।

দুর্বৃত্তরা রাখি রানী দে নামে এক মহিলার গলা থেকে সোনার চেইন ছিঁড়ে নিয়ে যায় এবং তার পরিধানের কাপড় খুলে ফেলে। এছাড়া ঝর্ণা রানী দের কানের দুল খুলে নিয়ে যায় এবং ওই বাড়িতে বিক্রির জন্য রাখা ৫০টি পাটি পর্যন্ত নিয়ে যায়। এছাড়া ওই বাড়ির সামনে স্থাপিত আ‘লীগের একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও লিটন দাসের মুদি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। হামলার সময় বাড়ির মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের আর্তচিৎকারে চারদিকের আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন