কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় মন্দির থেকে বাড়ি ফেরার পথে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই নারীর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। ২৫ মে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মুদাফরগঞ্জ দ. ইউনিয়নে জনার্দ্দনপুর এলাকায় দুই নারীকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করেছে।

 

আহতরা হলেন- উপজেলার ফুলহরা গ্রামের মহাজন বাড়ির মৃত রেবতী মোহন ভৌমিকের মেয়ে দিপালী রানী ভৌমিক (৩৮) ও একই গ্রামের তপন চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী দুলালী রানী ভৌমিক (৪০)। এ ঘটনায় নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলহরা গ্রামের মহাজন বাড়ির দিপালী রানী ভৌমিক ও দুলালী রানী ভৌমিক পাশের জনার্দ্দনপুর গ্রামে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে রাত ৮টার দিকে মুদাফরগঞ্জ-চিতোষী সড়ক দিয়ে হেটে বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

এ সময় রাস্তার পূর্ব পাশে মুমিনের বাড়ির সামনে একটি খড়ের স্তূপে ওত পেতে থাকা কয়েকজন যুবক হাতে লাঠি নিয়ে পিছন থেকে দিপালী রানী ভৌমিকের মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে থাকা দুলালী রানী ভৌমিক বাঁধ দিলে তাকেও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করে।

তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় দুই নারীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্মরত চিকিৎসকরা দিপালী রানী ভৌমিককে কুমিল্লায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে দিপালী রানী ভৌমিক কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।

ওই ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার স্বপ্না রানী দাস বলেন, খবর পেয়ে বুধবার সকালে আহত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তার বলেছেন- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা ওই হামলা চালিয়েছে।

এ দিকে খবর পেয়ে লাকসাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করছে।

এ বিষয়ে ২৬ মে বুধবার দুপুরে মুদাফরগঞ্জ দ. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল রশিদ সওদাগর যুগান্তরকে বলেন, রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই নারীর ওপর হামলা হওয়ার ঘটনা শুনেছি। আমি সকালে গ্রাম পুলিশের দুই সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন