কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আজ্ঞাপুর গ্রামে বিধবা পেয়ারা বেগম (৫২) ও ছেলে নাছির উদ্দিন খান শান্তকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান লিটন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

 

ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন খান জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়ির রাস্তা দিয়ে চলাচল করাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বেলা ১১টায় শাহআলমের ছেলে নাসির উদ্দিনকে হুমকি দেন মুকবুলের ছেলে মিজানুর রহমান লিটন মেম্বার। এতে তিনি ভয় পেয়ে বাড়ি চলে যান।

কিছু সময় পর মিজানুর রহমান লিটন ও জাকির হোসেনের ছেলে সফিউল্লাহ তুষারসহ কয়েকজন মিলে নাসিরের বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মা পেয়ারা বেগম ছেলেকে বাঁচাতে গেলে দেশীয় অস্ত্র ও দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে পেয়ারা বেগমের মাথা থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা মা-ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে পেয়ারা বেগমের বড়ছেলে জালাল উদ্দিন খান জানান, বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমাদের পরিবারকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে মিজানুর রহমান লিটন (সাবেক ইউপি সদস্য) আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি ও অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আজ আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার মা ও ভাইকে হত্যাচেষ্টা চালায়। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাকশিমূল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছি। তারা আমার সুনাম নষ্ট ও হেনস্তা করার জন্য আমাকে জড়িয়ে অপপচার চালাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত না। ওই মহিলা নিজেই ইট দিয়ে তার মাথা ফাটিয়েছে।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মো. আলমগীর জানান, আমি খবর শুনে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি তদন্তের জন্য এবং আহত পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন