চট্রগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের কুপিয়ে পিটিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তারা জমি দখল করতে সংখ্যালঘুদের উপর ২ দফা হামলা চালিয়েছে।শুধু তাই নয়, আপোষের নামে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে রুমে তালা লাগিয়ে বেপরোয়া পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে তারা স্থানীয়দের। এ সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। চেয়ারম্যানের সশস্ত্র দলবলের এ হামলায় আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্য। স্থানীয়দের উপর নির্বিচারে এ হামলার ঘটনায় মামলাও নিচ্ছে না কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় আহতদের মধ্যে ১৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, স্থানীয় সিংহপাড়ার প্রমিলা সিংহ, প্রতিমা সিংহ, চন্দ্রমোহন সিংহ, শিব সিংহ, মাইকেল দেব বর্মণ, প্রভাষ সিংহ, রাম চন্দ্র দাশ চন্দন, উৎপল সিংহ, সুসন সিংহ, সুজন সিংহ, বলরাম, ঝরণা, জনি, মৃদুল, কবিতা, হারাদন, তিলক, চন্দ্র মোহন, মীরা সিংহ।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, কর্ণফুলী থানার ওসি বলেছেন ভূমিমন্ত্রী নির্দেশ ছাড়া কোন মামলা নেওয়া যাবে না। মন্ত্রী মহোদয় ফোনে বলেছেন, ওনার বাসায় গিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে। ওসির নির্দেশনা পেয়ে ভূমিমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর সার্সন রোডের বাসায় দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা বসে থেকে ভুক্তভোগীদের কেউ মন্ত্রীর দেখা পাননি।
এ সময় মন্ত্রীর বাসার লোকজন ভুক্তভোগীদের বলেন, ‘আপনারা থানায় চলে যান। মন্ত্রী যা বলার ওসিকে বলে দিয়েছেন।’
এমন রক্তাক্তের ঘটনার পরও মামলা নিতে থানা পুলিশের গড়িমসির নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।
কর্ণফুলী থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে হামলায় অনেকে আহত হন। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউনিয়ন পরিষদের দু’পক্ষের সাথে বসি। সেখানে একপর্যায়ে আবারও এলোপাতাড়ি আক্রমণ শুরু হয়। এতে আমি, পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হই। আমরা এখন মেডিকেল চিকিৎসা নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘তেমন কোন ঘটনা হয়নি। তবে ঘটনায় যদি কেউ আহত হয়ে থাকে, তদন্তের পর মামলার বিষয়টি দেখা যাবে।’ তিনি ভুক্তভোগীদের মন্ত্রী বাসায় যাওয়ার পরামর্শের বিষয়টি এড়িয়ে যান।