দিনের আলোতে যে মানুষ গুলো ছিল প্রতিবেশী, রাতের অন্ধকারে তারাই সর্বনাশ করল। ভুলেও তারা চিন্তা করতে পারেনি এতদিনের চেনা মানুষ গুলো হঠাৎ এমন অচেনা পশু হয়ে উঠবে। এমনই ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘু দু’গৃহবধূর জীবনে। দু’জনের স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের পাশবিক নির্যাতন করা হয়। এ পরিবার দু’টিতে এখন অমানিশার অন্ধকার। গৌরনদী উপজেলায় বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নির্ভরযোগ ̈ সূত্রের। গৌরনদী থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ‘দাস’ পদবীর দু’ভাই একই সঙ্গে বসবাস করে। চারদিকে সংখ্যালঘুদের ওপর এমন নির্যাতন-নিপীড়নেও তারা এলাকা ছাড়েননি। চিন্তা করেছেন সবাই তো তাদের পরিচিত। কে তাদের ক্ষতি করবে। কিন্তু তাদের এ চিন্তা যে কত বড় ভুল তা বৃহষ্পতিবারের রাত না হলে বুঝতে পারতেন না। গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী কমলাপুর গ্রামের এক সরকার দলীয় ক্যাডারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ঐ বাড়িতে যায়। তারা দরজায় নক করে। ঐ ক্যাডার দীর্ঘ দিনের পরিচিত। প্রথমে দরজা না খুললেও তাদের ধমকা-ধমকিতে দরজা খোলে। প্রথমে ঐ ক্যাডার জানায়, বাড়িটি তারা দলিল করেছে, এখনও তারা বাড়ি থেকে নামেনি কেন? কেন তারা নৌকায় ভোট দিয়েছে? তারপর তারা দু’ভাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাইরে নিয়ে যায়। দু’গৃহবধূকে তারা দু’কক্ষের খাটের সঙ্গে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে। তাদের পাশবিক নির্যাতনে গৃহবধূদ্বয় অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা তাদের হুমকি দিয়ে যায় এ ব্যাপারে কোথাও কিছু বললে তাদেরকে হত্যা করা হবে।

দৈনিক জনকন্ঠ, ১৫ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন