সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার পল্লীতে পূজা শুরুর আগের রাতে প্রহরীকে মারধর করে দুর্গা প্রতিমার মস্তক ছিন্ন করে নিয়ে গেছে দর্বৃত্তরা। তারা গোটা পূজাস্থল অপবিত্র করে রেখে যায়। এদিকে ঐ ঘটনার পর গোটা হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শোক ও তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা প্রতিমা পূজার পরিবর্তে ঘট পূজার মাধ্যমে পূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা হয়েছে জৈন্তাপুর থানায়। গত রোববার রাত ১টায় উপজেলার কেন্দ্রীয় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পূজা কমিটি ও লোকজন জানায়, একদল দুর্বৃত্ত দুর্গা দেবীর মূর্তি প্রহরায় থাকা গিরিন্দ্র নাথকে মুখ ও গলা চেপে ধরে ও মারধর করে এ ঘটনা ঘটায়। প্রথমে তারা দেবীর মস্তক ছিন্ন করে নিয়ে যায় এবং গরুর মাংস, নাড়িভুঁড়ি ছিটিয়ে দেয় মূর্তির ওপর। দুর্বৃত্তরা চলে গেলে প্রহরীর চিৎকারে পূজা মণ্ডপের পাশে কীর্তনে থাকা লোকজন ছুটে আসে। ঘটনার পরপরই পুলিশ সন্দেহজনক চারজনকে গ্রেফতার করে। তারা হচ্ছে⎯ননাই মিয়া, জয়দুল হোসেন, আবুল কালাম ও কামাল হোসেন। এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলায় পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে মামলা করেছেন সুনীল দেবনাথ। এলাকার সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। বিকালে নিজপাট ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অ্যাডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য, মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

যুগান্তর, ২৩ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন