পঞ্চগড়ে একটি কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে এক নারী আটক হয়েছেন, যিনি ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

২৪ অক্টোবর রোববার সকালে সদর উপজেলার গরিনাবাড়ি ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এই নারী তার নাম সুমি আক্তার বানু বলছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপূজার মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির-মণ্ডপে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এই ঘটনা ঘটল। আর কয়েকদিন পর কালীপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষণ বর্মণের বাড়ির পাশের এই মন্দিরে ঘটনাটি ঘটেছে।

লক্ষণ বর্মণের শ্যালক শুভ বর্মন বলেন, সকালে কালী মন্দিরে ঢুকে ওই নারী প্রতিমা ভাঙচুর করে সড়কে এনে ফেলে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন তার পিছু নিলে তিনি স্থানীয় গোয়ালপাড়া বাজারে চলে যান। এ সময় লোকজন খবর দিলে সদর থানা পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।

শুভ বর্মন বলেন, “মূর্তি ভেঙে পালানোর সময় আমরা ওই নারীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি আমাদের মারতে আসেন। পরে গোয়ালপাড়া বাজারে অনেক লোকজন জড়ো হয়।”

এ সময় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ আসার আগেই আমরা ভেঙে ফেলা প্রতিমাগুলো পার্শ্ববর্তী পুকুরে বিসর্জন দেই। ওই মহিলাকে পাগল ভেবে আমরা কারো কাছে কোনো অভিযোগ করিনি।”

শুভ আরও জানান, খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, “থানা হেফাজতে থাকা ওই নারী অসংলগ্ন কথা-বার্তা বলছেন; একেক সময় একেক রকম কথা বলছেন। তিনি নিজের নাম সুমি আক্তার বানু ছাড়া আর কিছুই বলছেন না। স্থানীয়রাও ওই নারীকে এর আগে দেখেননি বলে জানিয়েছেন।”

ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, “তার কথা শুনে তিনি উত্তরবঙ্গের কোনো এলাকার বাসিন্দা হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

বিডিনিউজটোয়ান্টিফোরডটকম

মন্তব্য করুন