বগুড়ার নন্দীগ্রামের ইসলামপুর ভুস্কুর আলিয়া আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি না হতে পেরে তারেক রহমান মুনির নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন সভাপতি ও অধ্যক্ষকে মারপিট এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুরে মাদ্রাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের উদ্ধার ও মুনিরের ভাই স্কুল শিক্ষক আবদুল বাছেদকে গ্রেফতার করেছে।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেছেন। ওসি কামরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলার ইসলামপুর ভুস্কুর আলিয়া আলিম মাদ্রাসায় এডহক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন নতুন এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে নাজমুস সাহাদত সোহেলের নাম সুপারিশ করেন। অন্যদিকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক এমপি তারেক রহমান মুনির নামে একজনের পক্ষে সুপারিশ করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন গত ২ এপ্রিল মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে দু’জনের নাম প্রেরণ করেন। গত ১৪ এপ্রিল মাদ্রাসা বোর্ড এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে বিএনপির এমপির সুপারিশকৃত নাজমুস সাহাদত সোহেলের নাম অনুমোদন করে।
এদিকে বুধবার বেলা ১টার দিকে অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন ও এডহক কমিটির সভাপতি নাজমুস সাহাদত সোহেল মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে পাশের একটি দোকানে যান। এসময় সভাপতি হতে বঞ্চিত তারেক রহমান মুনির ও তার লোকজন ওই দু’জনকে ঘেরাও করে মারপিট এবং অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এসময় তারেক রহমান মুনিরের ভাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল বাছেদকে গ্রেফতার করা হয়।

মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষকে মারপিট ও অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ প্রসঙ্গে তারেক রহমান মুনির বলেন, তাদের কাছে কমিটি গঠনের ব্যাপারে শোনা হয়। তাদের কাউকে মারপিট বা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ সঠিক নয়। এটা সাজানো নাটক ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন